ইনফেকসাস ল্যারিংগোট্র্যাকিয়াইটিস
এই রোগের জীবাণু এক প্রকার ভাইরাস। ইহা একটি সংক্রামক ও মারাত্মক ছোঁয়াচে প্রকৃতির রোগ। সাধারণতঃ শ্বাসযন্ত্রই এ রোগে আক্রান্ত হয়।
লক্ষণঃ
মুরগির শ্বাসযন্ত্রে ঘড় ঘড়, সাঁ সাঁ শব্দ ও কাশি এ রোগের প্রধান লক্ষণ। ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস, কফ ও হাঁচি হয় এবং শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। শ্বাস গ্রহণকালে মুরগির হাঁপানো ভাব হয় এবং বড় হা করে মাথা ও ঘাড় উপরের দিকে উঠাতে থাকে। অপরদিকে শ্বাস ত্যাগকালে মুখ বন্ধ করে নীচের দিকে নামিয়ে দেয়। চোখ ভেজা থাকে। নাক দিয়ে রক্ত মিশ্রিত শ্লেষ্মা বের হয়। মাথার ঝুটি ও কানের লতি বেগুনী রংয়ের হয়। বেশী মারাত্মক হলে রোগ দেখা দেয়ার দু-একদিনের মধ্যেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মুরগি মারা যায়।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রনঃ
আক্রান্ত মুরগিকে পৃথক করে রাখতে হবে। এ রোগ থেকে বেঁচে থাকা মোরগ-মুরগি ভাইরাসের বাহক হিসাবে কাজ করে। সুতরাং রোগ থেকে সেরে ওঠা মোরগ-মুরগি সুস্থ্য মোরগ-মুরগির সঙ্গে না রেখে আলাদা করে রাখতে হবে। মৃত মোরগ-মুরগিকে যেখানে সেখানে না ফেলে মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে। মোরগ-মুরগির খোঁয়াড়/খামারে মাঝে মাঝে জীবাণুনাশক ঔষধ ছিটাতে হবে। মৃত মোরগ-মুরগি সরিয়ে নেয়ার পর জীবাণুনাশক ঔষধ দ্বারা ঘরের মেঝে পরিস্কার করতে হবে।
চিকিৎসাঃ
এ রোগের কার্যকরী কোন চিকিৎসা নাই। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমন রোধে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
source=http://old.dls.gov.bd/e_Livestock/Hash_Morgir_Rog.php
Social Plugin